Swami Vivekananda Scholarship (SVMCM) 2023: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ
তাই এই স্কলারশিপ “বিকাশ ভবন স্কলারশিপ” নামেও পরিচিত। নবম থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত এই বৃত্তি প্রদান করবে। এই বৃত্তিটির মূল লক্ষ্য হল, পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। এখানে আবেদন করতে গেলে শিক্ষার্থীদের পারিবারিক আয় বার্ষিক ২,৫০,০০০ টাকা বা তার কম হতে হবে। এই বৃত্তির আবেদন করলে এর সাথে অন্য বৃত্তির আবেদন করা যাবেনা। আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরব, এই বৃত্তির বিস্তারিত ব্যাখা।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন পদ্ধতি
- মুসলিম, খৃষ্টান, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। (https://wbmdfcscholarship.org/) এই ওয়েবসাইট টি।
- এটা হিন্দু ছাত্রছাত্রীদের জন্য। (https://svmcm.wbhed.gov.in/) এই ওয়েবসাইট টি।
- https://banglaruchchashiksha.wb.gov.in/ এই সাইটে গিয়ে ক্লিক করার পর, সাইটের ডানদিকের কোণে রয়েছে রেজিস্ট্রেশনের অপশন। সেখানে ক্লিক করুন।
- এরপর নীচে থাকা কনফার্মেশন চেক বক্স এর উপর ক্লিক করতে হবে।
- এরপর প্রসিড ফর রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর রেজিস্ট্রেশন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে অ্যাপ্লাই ফর ফ্রেশ রেজিস্ট্রেশনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- এরপর দিতে হবে সমস্ত নথিপত্র । মাধ্যমিকের মার্কশিট, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট, পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র,সরকার প্রদত্ত সচিত্র প্রমাণপত্র, ব্যাঙ্কের তথ্য ও ভর্তির রসিদ সবকিছুই আপলোড করতে হবে। এরপর রঙিন পাসপোর্ট ছবি এবং নিজের স্বাক্ষর দিতে হবে। এরপর বৈধ মোবাইল নম্বর ও মেইল আইডি দিতে হবে।
- এরপর সাবমিট অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করে দিতে হবে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের রিনুয়াল (Renewal) পদ্ধতি
- প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসতে হবে।
- এরপর 'Renewal Application' এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর 'Aplicant id ও Padsword' দিয়ে দিতে হবে।
- এরপর প্রয়োজনীয় নথি গুলো Upload করতে হবে।
- এরপর আবেদন পত্রটি submit করতে হবে।
এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে ১৮০০-১০২-৮০১৪ যোগাযোগ করতে হবে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদনের যোগ্যতা
- পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- পশ্চিমবঙ্গের কোনো প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর স্তরে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হবে।
- বার্ষিক পারিবারিক আয় আড়াই লক্ষেরও কম হতে হবে।
- মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নাম্বার পেয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার প্রমাণ দেখালে তবেই এই স্কলারশিপ কার্যকরী হবে।
- উচ্চমাধ্যমিকের পর 60% নাম্বার পেয়ে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা বা আর যেসমস্ত কোর্স রয়েছে, সেখানে ভর্তি হওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে।
- ইউজির পর 53% নাম্বার পেয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হলে আবেদন করতে পারবেন।
- যারা কন্যাশ্রীর K1 ও K2 পেয়েছে তারা মাস্টার্সে 45%মার্কস পেয়ে আবেদন করতে পারবেন।
- উচ্চ মাধ্যমিক স্তর, কলা, বাণিজ্য, বিজ্ঞান শাখার স্নাতক স্তর, ইউজিসি অনুমোদিত অন্যান্য পেশাদারি কোর্সে ৬০ শতাংশ নাম্বার থাকলে বিজ্ঞান শাখা ও অনান্য পেশাদারী শাখার জন্য মাসিক ১৫০০ টাকা প্রদান করা হবে। আর বাকি কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০০ টাকা প্রদান করা হবে।
- স্নাতকে ৫৩ শতাংশ নাম্বার পেয়ে বিজ্ঞান শাখা ও পেশাদারি কোর্সে স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীরা মাসিক পাবেন ২৫০০ টাকা। আর অনান্য শাখার ছাত্র ছাত্রীরা পাবেন মাসিক ২০০০ টাকা।
- নন-নেট এমফিল/নন-নেট পিএইচডি এবং নেট এলএস পিএইচডি স্তরের ক্ষেত্রে তারা পাবেন মাসিক ৫০০০ ও ৮০০০ টাকা।
- স্নাতকোত্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীরা স্নাতকে ৬০ শতাংশ নম্বর এবং এআইসিটিই অনুমোদিত পেশাদারি কোর্সের ছাত্রছাত্রীরা স্নাতকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেলে তাদের বৃত্তির পরিমাণ মাসিক ৫০০০ টাকা।
- পলিটেকনিক কোর্সে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের আগের কোর্সে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। আর তারা পাবে মাসিক ১৫০০ টাকা।
- মেডিক্যাল ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা কোর্সের আবেদনকারীদের শেষ পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর থাকলে তারা পাবেন মাসিক ৫০০০ ও ১৫০০ টাকা।
এই স্কলারশিপে কারা আবেদন করতে পারবেন?
- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক।
- সাধারণ ডিগ্রি কোর্স -বিএ, বিএসসি, বিকম,।
- ডিপ্লোমা এবং আইটিআই ছাত্রছাত্রী।
- ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স -BTech, BE, BArch এবং MTech।
- মেডিকেল কোর্স- MBBS,BDS and Diploma।
- নার্সিং কোর্স - ANM/GNM/BSc।
- ফার্মেসি কোর্স।
- প্যারামেডিক্যাল কোর্স।
- পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কোর্স - এমএ, এমএসসি।
- বি.এড. কোর্স।
- এম.ফিল. এবং পিএইচডি।
আবেদন করার পর কীভাবে স্ট্যাটাস চেক করবেন?
- প্রথমে svmcm.wbhed.gov.in এ যান , এরপর ডানদিকে “Applicant Login” তে ক্লিক করুন।
- আইডি, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড দিয়ে লগইন করুন।
- “Track Application” এ ক্লিক করুন।
- এরপরই আপনি স্টাটাস দেখতে পাবেন।
স্ট্যাটাস চেক করবার সময় কিছু তথ্য ইংরেজিতে লেখা থাকে, যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। নীচে রইল সেগুলোর অর্থ।
- Application Submitted - স্ট্যাটাস চেক করবার সময় যদি এই লেখাটা দেখতে পান, তাহলে বুঝতে হবে আবেদনটি সাবমিট হয়েছে।
- Application Forwarded by DI/HOI - আবেদনটি যাচাই করে স্কলারশিপ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
- Application Approved (Scholarship Amount not Disbursed yet) - আবেদন গৃহীত হয়েছে, কিন্তু টাকা প্রদান করা হয়নি।
- Application Sanctioned (Scholarship Amount Disbursed) - আবেদন অনুমোদিত হয়েছে, এবার ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে।
- Application Rejected - স্কলারশিপের আবেদন গ্রহণ করা যায়নি।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ (প্রশ্নোত্তর) - Swami Vivekananda Scholarship (FAQ)
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে কত টাকা পাওয়া যায়?
12 হাজার টাকা থেকে 60 হাজার টাকা পাওয়া যায়।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে কারা কারা আবেদন করতে পারবেন?
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক থেকে পিএইচডি পর্যন্ত।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে পড়াশোনা করলে এই স্কলারশিপ পাওয়া যাবে?
না।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে কোন সময় আবেদন করা যায়?
প্রতিবছর অক্টোবর-নভেম্বর মাস নাগাদ শুরু হয়, আর শেষ হয় জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারীতে। তবে এই সময় পরিবর্তন হয়। তার জন্য চোখ রাখতে হবে ওয়েবসাইটে।
আবেদন করার কতদিনের মধ্যে টাকা ঢুকবে?
অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস Sanctioned হওয়ার 15 থেকে 20 দিনের মধ্যে টাকা ঢুকবে।
জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্রছাত্রীরাও আবেদন করতে পারবেন?
হ্যাঁ। এই স্কলারশিপ জাত নির্বিশেষে সকল মেধাবীদের জন্য।
B.ED কোর্সের স্টুডেন্টরা কি এই স্কলারশিপের আওতায় পড়ে?
হ্যাঁ।
দুটি সরকারী স্কলারশিপ একসাথে আবেদন করা যেতে পারে?
না।
একাদশ শ্রেণির স্টুডেন্টরা কত টাকা পাবে?
12000 টাকা।
দ্বাদশ শ্রেণীর স্টুডেন্টরা কত টাকা পাবে?
12000 টাকা।
ডিপ্লোমা কোর্সের স্টুডেন্টরা কতটাকা পাবে?
18000 টাকা।
UG স্টুডেন্টরা কত টাকা পাবে?
12000 টাকা থেকে 60000 টাকা।
PG স্তরের স্টুডেন্টরা কত টাকা পাবে?
24000 টাকা থেকে 60000 টাকা।