কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী | Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali

Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী (Kazi Nazrul Islam Biography in Bengali) : ইংরেজদের বিরুদ্ধে সকলেই প্রতিবাদ জানিয়েছে, কেউ জানিয়েছেন সামনা-সামনি, আবার কারোর মাধ্যম হয়ে উঠেছে লেখা। এই লেখার মাধ্যমেই জানিয়েছেন প্রতিবাদ। তেমনই এক কবি হলেন কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)। যিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে জানিয়েছেন বিদ্রোহ। আর তাই তো তাঁকে বলা হয় বিদ্রোহী কবি। জেনে নেওয়া যাক মহান কবি কাজী নজরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী

কাজী নজরুল ইসলামের (Kazi Nazrul Islam) জীবনী

জন্ম (Birthday) ২৪শে মে ১৮৯৮ (বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ ই জ্যৈষ্ঠ)।
জন্মস্থান (Place of Birth) বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে।
পিতা ও মাতা (Parents) কাজী ফকির আহমেদ ও জাহেদা খাতুন।
ছদ্মনাম দুখু মিয়া।
দাম্পত্য সঙ্গী প্রমিলা দেবী নার্গিস আসার খানম।
জীবিকা কবি, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকর ও সম্পাদক।
মৃত্যু (Death) ২৯ আগস্ট ১৯৭৬। 
মৃত্যু স্থান ঢাকা, বাংলাদেশ।

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম - Kazi Nazrul Islam Birthday

১৮১৮ খ্রীস্টাব্দের ২৫ শে মে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের জোলা পরিবারে (মুসলমান তাঁতি) কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম হয়। নজরুলের আরও তিন ভাই ছিল। কিন্তু তাঁরা বাঁচেননি, কিছুদিন পরেই মারা যান। আর তাই দাদি নাম রেখেছিলেন দুখু মিয়া। 

কাজী নজরুল ইসলামের পিতা ও মাতা

পিতা কাজী ফকির আহমদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বয়স যখন দশ, তখন হারিয়েছেন পিতাকে। 

শৈশব, পড়াশোনা ও কর্মজীবন

খুব অল্প বয়সেই হারিয়েছেন পিতাকে, আর অল্প বয়সে পিতাকে হারিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিলেন। এর ফলে জীবন বয়ে যায় উচ্ছৃঙ্খলতায়। এর মাঝেও তিনি পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন, মক্তব থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করে মক্তবেই শিক্ষকতার কাজ করেছেন। এছাড়াও হাজী পালোয়ানের কবরের সেবক এবং মসজিদের মুয়াযযিন এর সূত্রপাত ঘটান।  ইসলামিক মৌলিক আচার-অনুষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। এর ফলাফল দেখা যায় তাঁর সাহিত্যে। পাশাপাশি তিনি  মাংসের দোকানে চাকরি এবং লেটো গানের দলে যোগ দিয়েছিলেন। তখন বয়স ছিল মাত্র ১১। এই বয়সেই তিনি লেটোর দলের জন্যে রাজপূত, মেঘনাদবধ ইত্যাদি কয়েকটা পালাগান লিখলেন। এরপর থেকেই সবার মুখে মুখে তাঁর কৃতিত্ব। এরপর রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল রাজ স্কুলে ভর্তি হন। মাথরুন উচ্চ ইংরেজি স্কুলে পড়াশোনা করেন। কিন্তু ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে, আবার কাজের জীবনে ফিরতে হয়। পড়াশোনা ছেড়ে প্রথমে বাসুদেবের কবিদলে, খ্রিস্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা হয়ে, আসানসোলের চা-রুটির দোকানে কাজ করেছেন। ১৯১৭ সালে পরীক্ষা না দিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর করাচি সেনানিবাসে একজন সৈনিক হন। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের শেষ থেকে ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত ৪৯ নম্বর বাঙালি পল্টন বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। এখানে থাকতে থাকতে শিখেছেন ফার্সি ভাষা, দেশী-বিদেশী বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সঙ্গীতের চর্চা।

সাহিত্য জীবন

করাচি সেনানিবাসে থাকার সময় বহু রচনা সম্পাদনা করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বাউণ্ডুলের আত্মকাহিনী (প্রথম গদ্য রচনা), মুক্তি (প্রথম প্রকাশিত কবিতা)। এছাড়াও লিখেছেন কিছু গল্প, যেমন ব্যথার দান, মেহের নেগার, ঘুমের ঘোরে, কবিতা সমাধি। এই সময়ে তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন, ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দে যুদ্ধের অবসান ঘটলে সেনাবাহিনী থেকে ছাঁটাই করা হয়। এরপর ১৯২০ সালে কলেজ স্ট্রীটে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতিতে যোগদান করেন, এখানেই বসে লিখলেন ‘বাঁধন-হারা’।। এরপরে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁর বিদ্রোহী সত্তা। গর্জে উঠেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। গর্জে উঠে বলেছেন, "কারার ওই লৌহ কপাট; ভেঙে ফেল কর রে লোপাট রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণ বেদী"। এরপর থেকেই তাঁর কাব্য-কবিতায় দেখা দিল বিদ্রোহের সুর। 'অগ্নিবীণা', 'বিষের বাঁশি', 'সর্বহারা', 'ফণিমনসা', 'ছায়ানট' সব কাব্যে ফুটে উঠেছে বিদ্রোহ। শুধু কবিতা নয়, লিখলেন গান। প্রায় আড়াই হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বুলবুল, চোখের চাতক, গুলবাগিচা, গীতিমাল্য প্রভৃতি। এইসব লিখে কলকাতার নামি পত্রিকায় পাঠাতে লাগলেন। শুধু তাই নয় 'ধূপছায়া' নামে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এছাড়াও প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘জামাই ষষ্ঠী’ ও ‘গৃহদাহ’ চলচ্চিত্রের সুরকার ছিলেন। এছাড়াও ‘ভক্ত ধ্রুব’, ‘গ্রহের ফের’, ‘পাতালপুরী’, ‘গোরা’ চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।

বিখ্যাত কবিতা

বয়স তখন মাত্র ২২। তখন লিখলেন সেই বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’। এর ফর থেকেই তিনি হয়ে গেলেন বিদ্রোহী কবি। এরপর লিখলেন ‘মে ভুখাহু’ শীর্ষক প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধ লেখায় রাজদ্রোহের অভিযোগে নজরুলের এক বছর কারাদণ্ড হয় (১৯২৩ খ্রি : জানুয়ারী)। এরপর  ১৯২৩ এর অক্টোবরে প্রকাশ পায় অগ্নিবীনা। 

দাম্পত্য জীবন

১৯২১ সালে মুসলিম গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের শালি নার্গিসকে বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি বিবাহ আসর থেকে চলে গিয়েছিলেন। ১৯২৪ খ্রীস্টাব্দের ২৪ শে এপ্রিল তিনি প্রমীলা দেবীকে বিবাহ করেন। তিনি ছিলেন চার সন্তানের পিতা। কৃষ্ণ মুহাম্মদ, অরিন্দম খালেদ (বুলবুল), কাজী সব্যসাচী এবং কাজী অনিরুদ্ধ।  

দেশের জন্য কর্তব্য

ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে অস্ত্রের বদলে হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম। ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে গোটা দেশ যখন মত্ত, তখন তিনি লিখলেন, "মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান; মুসলিম তার নয়ন মণি হিন্দু তাহার প্রাণ"। লিখলেন কান্ডারী হুশিয়ার। গাইলেন 'ওঠরে চাষী জগৎবাসী ধর কসে লাঙল'।

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নজরুলকে জগত্তারিনী পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন (১৯৪৫)। 
  • ভারত সরকার পদ্মভূষণ উপাধি দেন (১৯৬০)। 
  • বিশ্বভারতী থেকে ১৯৭০ সালে ‘ডিলিট’ উপাধি লাভ করেন। 
  • বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে জাতীয় কবি হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। 
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে ‘ডিলিট’ উপাধি লাভ করেন।
  • ১৯৭৫ সালে ‘একুশে পদক’ পান। 
  • ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের সরকার নজরুলকে নাগরিকত্ব দেন। 

মৃত্যু - Death of Kazi Nazrul Islam

১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। পাঠানো হয় রাঁচির এক মানসিক হাসপাতালে। এরপর পাঠানো হয় লন্ডনে। এরপর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ মে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে কবির কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধের  মৃত্যু তাঁকে আরও শোকাহত করে। এরপর ঢাকার পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশেষে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট তিনি পরলোক গমন করেন। 

তিনি লিখেছিলেন,

“মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।
যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।
আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,
পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।
গোর-আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।”

আর তাই কবির ইচ্ছানুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কবিকে কবর দেওয়া হয়।

বিখ্যাত কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ

  • অগ্নিবীণা (১৯২২)
  • দোলন-চাঁপা( ১৯২৩)
  • বিষের বাঁশি(১৯২৪)
  • ছায়ানট(১৯২৫)
  • সাম্যবাদী(১৯২৫)
  • সঞ্চিতা (১৯২৫)
  • সর্বহারা(১৯২৬)
  • ফনীমনসা(১৯২৭)
  • চক্রবাক (১৯২৯)
  • সাতভাই চম্পা (১৯৩৩)
  • নির্ঝর (১৯৩৯)
  • নতুন চাঁদ (১৯৩৯)
  • মরুভাস্কর (১৯৫১)
  • সঞ্চয়ন (১৯৫৫)
  • নজরুল ইসলাম: ইসলামী কবিতা (১৯৮২)

নজরুল গীতি (কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান) 

  • বুলবুল(১৯২৮)
  • সন্ধ্যা (১৯২৯)
  • চোখের চাতক(১৯২৯)
  • নজরুল গীতিকা(১৯৩০)
  • চন্দ্রবিন্দু(১৯৩১)
  • বনগীতি(১৯৩১)
  • জুলফিকার(১৯৩১)
  • সুরসাকী(১৯৩২)
  • গুল বাগিচা (১৯৩৩)
  • গানের মালা(১৯৩৪)
  • বুলবুল দ্বিতীয় ভাগ(১৯৫২)
  • রাঙ্গা জবা (শ্যামা সংগীত)-১৯৬৬। 

ছোটো গল্প

  • ব্যাথার দান (১৯২২)
  • রিক্তের বেদন(১৯২৫)
  • শিউলি মালা(১৯৩১)

উপন্যাস

  • বাঁধন হারা (১৯২৭)
  • মৃত্যুক্ষুধা (১৯৩০)
  • কুহেলিকা (১৯৩১)

নাটক

  • ঝিলিমিলি (১৯৩০)
  • আলেয়া (১৯৩১)
  • পুতুলের বিয়ে (১৯৩৩)
  • মধুমালা ( ১৯৬০)
  • ঝড় ( ১৯৬০)
  • পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে (১৯৬৪)

উল্লেখযোগ্য তথ্য - Unknown Facts About Kazi Nazrul Islam

  1. প্রথম গদ্য রচনা – বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী। 
  2. প্রথম  মুক্তি প্রাপ্ত কবিতা – মুক্তি। 
  3. বাংলাদেশের নজরুল ইনস্টিটিউট তাঁর লেখা নিয়ে গবেষণা করছেন। 
  4. ছায়ানটের মোট ৫০ টি কবিতা প্রথম স্ত্রী নার্গিসের জন্য লেখেন। 
  5. কবি একবার পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের বাড়ি বেড়াতে যান, জসীমউদ্দীনের বাড়িতে গিয়ে চা খাওয়ার প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু  তাঁর বাড়িতে কেউ চা খায়না, আর তাই আদা, মরিচ, পেঁয়াজ, ধনে, জিরা দিয়ে চা করে দেন। 
  6. কবি আসানসোলের রুটির দোকানে কাজ করতে করতে তৈরি করতেন ছড়া। আটা মাখতে মাখতে গা দিয়ে ঘাম ঝড়ছে, বানালেন ছড়া, ‘মাখতে মাখতে গমের আটা/ ঘামে ভিজল আমার গা-টা।’
  7. মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন, ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির যে ঘরটিতে নজরুল ও মুজফফর আহমদ থাকতেন, সেখানে বসেই ১৯২১ সালের বড়দিনের ছুটির সময় এক রাতে নজরুল তাঁর “বিদ্রোহী” কবিতাটি লেখেন। কবিতাটি তিনি প্রথমে লেখেন পেনসিল দিয়ে। সেকালে বলপেন এমনকি ফাউন্টেন পেনেরও চল ছিল না। দোয়াতে বারবার কলম ডুবিয়ে লিখতে হতো। মুজফফর আহমদের মতে, এভাবে লিখতে গিয়ে পাছে তাঁর ভাবনায় ছেদ পড়ে, তাই নজরুল পেনসিল দিয়েই পুরো কবিতাটি লিখেছিলেন।’

কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী (FAQ)

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম কোথায়?

কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে মে, বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কাজী নজরুল ইসলাম কী নামে খ্যাত?

বিদ্রোহী কবি।

কাজী নজরুল ইসলামের পিতা ও মাতার নাম কী?

কাজী ফকির আহমেদ ও জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম বিবাহ করেন কবে?

১৯২৪ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রমীলা সেনগুপ্তকে।

নজরুলের বিখ্যাত কবিতার নাম কী?

বিদ্রোহী।

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?

কাজী নজরুল ইসলাম।

নজরুল ইসলামের কবে মৃত্যু হয়?

১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট।

... ...

উপসংহার

রবীন্দ্রনাথের পরে যিনি বাংলা সাহিত্যে বিচরণ করেছেন তিনি কাজী নজরুল ইসলাম (Kazi Nazrul Islam)। কি নেই তাঁর ঝুলিতে। রয়েছে নাটক, গান, উপন্যাস, ছোটোগল্প, চলচ্চিত্র, প্রবন্ধ, সংগীত পরিচালক। একের মধ্যে অনেক। বাংলা সাহিত্য থেকে সমাজ সবেতেই তাঁর বিচরণ। মুসলিম বা হিন্দু কোনো সম্প্রদায়ে তাঁকে বিভক্ত করা যায়না। তাঁর ধর্ম মানবতা। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url