কৃষ্ণের পরম ভক্ত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু | Biography of Chaitanya Mahaprabhu in Bengali
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।"
এই মহামন্ত্রটির উদ্ভাবক যিনি, তিনিই হলেন শ্রীচৈতন্য দেব। যিনি প্রথম দেখিয়েছিলেন কৃষ্ণ প্রেম। সেই চৈতন্যদেবের জীবনের কাহিনী তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী
- জন্ম :- ১৪৮৬ খ্রিঃ
- ডাকনাম :- নিমাই, গৌরাঙ্গ।
- পিতৃদত্ত নাম :- বিশ্বম্ভর।
- দাদা :- বিশ্বরূপ।
- মৃত্যু :- ১৫৩৩ খ্রিঃ
- মাতা ও পিতা :- মাতা শচীদেবী। পিতা জগন্নাথ মিশ্র।
- বিবাহ :- লক্ষীপ্রিয়া দেবী ও বিষ্ণুপ্রিয়া দেবী।
চৈতন্যদেবের জন্ম
১৪৮৬ খ্রিঃ এর ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ফাল্গুনী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে নবদ্বীপের মায়াপুর পল্লীতে শ্রীহট্টিয়া পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন চৈতন্য মহাপ্রভু। জন্মের পর তাঁর পিতামহ নীলাম্বর চক্রবর্তী গণণা করে বললেন, এই জাতক বিদ্যা ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করবে না, কিন্তু ধর্মজগতের এক মস্তবড় নেতা হয়ে সফল হবে। আর তাই ঠিক এটাই ঘটল। পিতামহের ভবিষ্যত বাণী অক্ষরে অক্ষরে ফলিত হল। তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর পিতা ও মাতা
তাঁর পিতার নাম জগন্নাথ মিশ্র, মাতা শচীদেবী। পিতার আদি বাড়ি ছিল, বাংলাদেশের শ্রীহট্টতে ( বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোপালগঞ্জ)। নিমাই যখন গর্ভে, তখন স্বপ্নাদেশ পান, তাঁর গর্ভে রয়েছে স্বয়ং ভগবান। তাই তাঁকে যেতে হবে মায়াপুরে । আর এই স্বপ্নাদেশ পেয়ে জগন্নাথ মিশ্র স্ত্রীকে নিয়ে মায়াপুরে যান। কিন্তু একাদশ, দ্বাদশ মাস হয়ে গেল, তবুও জন্ম হলনা কারোর। এরপর ১৪০৭ বঙ্গাব্দে সেখানেই জন্ম হয় নিমাই এর।
চৌদ্দশত সাত শকে, মাস যে ফাল্গুন।
পূর্ণমাসীর সন্ধ্যাকালে হৈল শুভক্ষণ।।
সিংহ রাশি সিংহলগ্ন উচ্চ গ্রহগণ।
ষড়বর্গ অষ্টবর্গ সর্ব শুভক্ষণ।
জগন্নাথ মিশ্রের পরপর আটটি কন্যা হয়, কিন্তু কেউই জীবিত ছিলেননা। তারপর এক পুত্র হয়, তাঁর নাম বিশ্বরূপ।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শৈশব
ছোটো থেকেই খুবই দুষ্টু ছিলেন। পড়শীদের বাড়ি থেকে খাবার চুড়ি করতেন, পূজোর মালা গলায় পড়ে ঘুরতেন। আবার পুকুরঘাটে বসে থাকতেন, স্নান সেরে মানুষজন ঘাট থেকে উঠলে, সে তাদের গায়ে ছল দেয়। পুরো যেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তবে যেমন ছিলেন দুষ্টু তেমনই ছিলেন মেধাবী। হরিনাম শুনলেই থেমে যেত কান্না। নামকরণের সময় সবকিছু ছেড়ে ছুঁয়ে দেখেছিলেন ভাগবতের পুঁথি।
শিক্ষা
পাঁচ বছর বয়সে হয় হাতেখড়ি। প্রথম জীবনে প্রধান আগ্রহ ছিল, সংস্কৃতের বিষয়ে জ্ঞানার্জন করা। কয়েক বছরে নিমাই নানা শাস্ত্রে পন্ডিত হয়ে উঠলেন। এরপর ব্যকারণ শাস্ত্রে জ্ঞানার্জন করে মাত্র ২০ বছর বয়সে একটি টোল খোলেন। সেখানে ছাত্রদের লেখাপড়া করান। নিমাই এর টোল খোলার খবর শুনে দলে দলে ছাত্ররা এসে ভিড় করলেন। নিমাই এর প্রথম শিষ্য হলেন তপন মিশ্র। সংস্কৃত ভাষায় লিখেছিলেন আটটি স্লোক, যা পরিচিত শিক্ষাষ্টোক নামে।
দাদা
তাঁর দাদার বিশ্বরূপ মিশ্র। দাদাকে প্রচন্ড ভয় পেতেন নিমাই। কিন্তু দাদার প্রতি ছিল প্রবল টান। শৈশবে সন্ন্যাস গ্রহণ করে তিনি গৃহত্যাগ করেন। আর চৈতন্য যাতে এরূপ করে গৃহত্যাগ না করেন, তাই শচীদেবী সবসময় তাঁকে আগলে রাখতেন।
বিবাহ জীবন
১৫০১ সালে পন্ডিত বল্লভার্যের সুলক্ষণা কন্যা লক্ষীদেবীর সাথে বিয়ে দেন নিমাই এর। এরপর নিমাই পূর্ববঙ্গে আসেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে শোনেন সাপের কামড়ে মারা যান লক্ষীদেবী। এরপর আনুমানিক ১৫০৫ সালে বিয়ে করেন বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীকে। তখন বিষ্ণুপ্রিয়ার বয়স দশ বছর। কয়েকবছর সুখেই কাটে। কিন্তু তারপর ২৪ বছর বয়সেনিমাই সংসার জীবন ছেড়ে হয়ে যান সন্ন্যাসী। কথিত আছে, নিমাই চলে যাওয়ার পর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীও সন্ন্যাসী জীবন বেছে নিয়েছিলেন। প্রতিদিন স্নানের পর কৃষ্ণ নাম জপ করতেন, জপ শেষে একটা করে চাল পাত্রে রাখতেন। সেই চাল জড়ো করে একবার আহার করতেন। এমনকি কারোর সাথে দেখাই করতেন না। চৈতন্যদেবের বাড়ির ভৃত্য এবং শচীদেবী ছাড়া কারোর মুখ দেখতেন না।
সাধক নিমাই | Love for God
পিতার মৃত্যুর পর গয়ায় গিয়ে পিণ্ডদান করেন, আর সেখানেই আলাপ হয়, তাঁর গুরু ঈশ্বর পুরীর সাথে। ঈশ্বর পুরীর কাছ থেকে গোপাল মন্ত্রে দীক্ষিত হন। এই ঘটনা নিমাই এর জীবনে প্রভাব ফেলে। এরপর ২৪ বছর বয়সে সংসার জীবন ত্যাগ করে কাটোয়ার কেশব ভারতীর কাছে থেকে সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষিত হওয়ার পর নাম বদলে নাম রাখেন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।
এই প্রসঙ্গে বৃন্দাবন দাস লিখেছেন,
নিশ্চয় চলিব আমি করিতে সন্ন্যাসে।। (মধ্যখণ্ড ২৬ অধ্যায়)
আর তাই ১লা মাঘ কাটোয়ায় সাড়ম্বরে পালিত হয় মহাপ্রভুর সন্ন্যাসগ্রহণ উৎসব। দীক্ষা গ্রহণের পর তিনি রাঢ় পরিক্রমা শুরু করেন। বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান, বৈষ্ণবধর্ম প্রচারে ব্রতী হন। নবদ্বীপের অনেক মুসলমান তাঁর ধর্মপ্রচার শুনে তাঁরাও বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তখন তাঁর মুখে একটাই নাম কৃষ্ণ, কৃষ্ণ, কৃষ্ণ। চৈতন্যের এই ভাব দেখে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির শিকার হলেন তাঁর স্ত্রী ও মা।
খাদ্যরসিক চৈতন্য
নীলাচলে থাকতে চৈতন্য দিনে ৫৪ বার খেতেন। তাঁর পছন্দের পদ ছিল শুক্তো। যখনই আমাশয় হত তখনই খেতেন শুক্তো। এছাড়াও খেতে ভালোবাসতেন খইয়ের নাড়ু, চিড়ের নাড়ু, ক্ষীরের নাড়ু, মুড়ির মোয়া প্রভৃতি।
সমাজে চৈতন্য দেবের অবদান
যখন সমাজকে গোটা ইসলাম ধর্ম ঘিরে ফেলেছিল, তখন তিনি সমাজকে তিনি শিখিয়েছেন ভালোবাসার ধর্ম মানবতা। এই ভালোবাসায় থাকেনা, হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ, ধনী-গরীব ভেদাভেদ, জাত ভেদাভেদ, শুধুই থাকে মানুষের প্রতি মানুষের প্রেম। ব্রাহ্মণ -চন্ডাল সব এক। তাই তো তিনি যবন হরিদাস থেকে গুণ্ডা জগাই-মাধাই সকলকেই স্থান দিলেন।
বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য দেবের প্রভাব
শুধু সমাজ নয়, সাহিত্যেও রয়েছে তাঁর প্রভাব। চৈতন্য পূর্ববর্তী সাহিত্যে ছিল লৌকিক দেবদেবীর মাহাত্ম্য। তিনি আসার পরে, সাহিত্যে স্থান পেল মানবপ্রেম। চৈতন্য পূর্ববর্তী সাহিত্য হিসেবে বৈষ্ণব পদাবলী ছিল। এই বৈষ্ণব পদাবলীর মূল ভাব ছিল লৌকিক প্রেমানুভূতি। তাঁর আবির্ভাবে বৈষ্ণব পদাবলীতে আমূল পরিবর্তন ঘটল। গোবিন্দদাস, জ্ঞানদাস, বলরাম দাস, নরহরি চক্রবর্তী, নরোত্তম দাস প্রমুখ কবিদের কবিতায় দেখা দিল মানবরস ও ভক্তিভাবুকতার বাণী।
চৈতন্য দেব ছিলেন অন্তরঙ্গে কৃষ্ণ, বহিরঙ্গে রাধা। আর তাই তাঁর আবির্ভাবে রাধা-কৃষ্ণ বাংলা সাহিত্যে একটা নির্দিষ্ট স্থান পেল। চৈতন্য পরবর্তী বৈষ্ণব ভাবাবেগে অনুপ্রাণিত হয়ে মধুসূদন লিখেছেন ‘ব্রজাঙ্গনা’ আর রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী।
এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, “বর্ষাঋতুর মতো মানুষের সমাজে এমন একটা সময় আসে যখন হাওয়ার মধ্যে ভাবের বাষ্প প্রচুর পরিমানে বিচরণ করিতে থাকে। চৈতন্যের পর বাংলাদেশের সেই অবস্থা আসিয়াছিল। তখন সমস্ত আকাশ মেঘের রসে আর্দ্র ছিল। তাই দেশে সে সময় যেখানে যত কবির মন মাথা তুলিয়া দাঁড়াইয়াছিল সকলেই সেই রসের বাষ্পকে ঘন করিয়া কত অপূর্ব ভাষা এবং নতুন ছন্দে, কত প্রাচুর্যে এবং প্রবলতায় তাহাকে দিকে দিকে বর্ষণ করিয়াছিল।”
বাংলার কবিগণ তাঁর জীবন নিয়েই প্রথম শুরু করলেন জীবনী মূলক রচনা। জানা যায়, শ্রীচৈতন্য দেবের জীবনী মূলক গ্রন্থের আগে, বাংলা সাহিত্যে জীবনীমূলক গ্রন্থের আবির্ভাব হয়নি।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
পৃথিবীতে মানুষ এসেছে প্রেমধর্মকে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেবার জন্য। প্রেমধর্ম ছাড়া সব কিছুই বৃথা।
চৈতন্যদেবের মৃত্যু
- শ্রীচৈতন্য দেবের মৃত্যু নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক রয়েছে।
- পুরীর জগন্নাথের মূর্তিতে তিনি বিলীন হয়ে যান।
- সংকীর্তনে বের হওয়ার সময় পায়ে ইটের আঘাত লেগেছিল সেখান থেকে সেপ্টিসেমিয়া, আর তা থেকেই মৃত্যু।
- আবার ডঃ নীহাররঞ্জন রায় জানান, তাঁকে খুন করা হয়েছে , "মহাপ্রভূ চৈতন্য দেব কে গুম খুন করা হয়েছিল পুরীতেই এবং চৈতন্য দেবের দেহের কোন অবশেষ চিহ্ন রাখা হয়নি কোথাও, এবং তা হয়নি বলে তিনটি কিংবদন্তি প্রচারের প্রয়োজন হয়েছিল ।... এই বয়সে শহীদ হবার ইচ্ছে নেই বলেই বলতে পারবো না , ঠিক কোথায় চৈতন্যকে খুন করা হয়েছিল । ” – নীহাররঞ্জন রায় (সপ্তডিঙ্গা , বর্ষ ২ , সংখ্যা ২ ) "
- অন্যদিকে দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর "চৈতন্য অ্যান্ড হিজ এজ" গ্রন্থে জানিয়েছেন, 'শ্রী চৈতন্য যদি বিকেল চারটের সময় মন্দিরের মধ্যে দেহত্যাগ করে থাকেন, আমরা জানি, ওই দিন রাত এগারোটা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলেনি । এই সময়টা লেগেছিল তার দেহ মন্দিরের মধ্যে পুঁতে ফেলে মন্দিরের মেঝে আবার আগের মতো করতে । রাত এগারো টায় দরজা খুলে বলা হলো প্রভু জগন্নাথের দেহে চৈতন্য লীন হয়ে গেছেন ।' অর্থাৎ তাঁর ধারণা জগন্নাথ দেবের পান্ডারা তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
- আবার কেউ কেউ বলেন চৈতন্য মহাপ্রভু মৃগীরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
- সর্বজন মতে, ১৫৩৩ খ্রীষ্টাব্দে আষাঢ় মাসের শুক্লা সপ্তমী তিথিতে রবিবার পুরীর সমুদ্র তীরে বিলীন হয়ে যান।
চৈতন্য মহাপ্রভুর মৃত্যু একটা রহস্য। আর সেই রহস্য উদঘাটন করেছেন অনেক গবেষক। আর সেই সব রহস্যের কথা জানতে পড়তে হবে সেই সব রহস্যময় বই।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
- নিম গাছের নীচে জন্মগ্রহণ করায় তাঁর নাম হল নিমাই।
- শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর গায়ের রং উজ্জ্বল থাকায়, তাঁকে লোকে গৌরাঙ্গ বলে ডাকত।
- নিমাই এর বিয়েতে বরযাত্রীদের জন্য খাবার ছিল, “পিষ্টক, পায়স, ঘৃত, দধি দুগ্ধ গুড়ে। বরজাত ভোজন করিল সৌড়ে সৌড়ে ( সারে সারে )।।”
- ১৫০৮ সালে গয়ায় পিন্ড দান করতে গিয়ে গোপাল মন্ত্রে দিক্ষিত হন।
- ১৫১০ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস নেন, শ্রীচৈতন্য দেব নাম ধারণ করেন।
- সন্ন্যাস গ্রহণের পর পাঁচ বছর দক্ষিণ ভারত, পশ্চিম ভারত, মথুরা, বৃন্দাবন, পরিক্রমণ করেন।
- এরপর জীবনের শেষ আঠারো বছর নীলাচলে কাটান।
- চৈতন্য জীবনী কাহিনী হল বাংলা সাহিত্যের প্রথম জীবনীমূলক কাহিনী।
- চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন নিয়ে লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা হল, শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীর, 'শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত', শ্রীবৃন্দাবন দাস ঠাকুরের 'শ্রীমদ্ চৈতন্য ভাগবত',এবং শ্রীলোচন দাস ঠাকুরের, 'শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল'।
- নবদ্বীপের মহাপ্রভু ধামে রয়েছে চৈতন্য মহাপ্রভুর কাষ্ঠ নির্মিত পাদুকা যুগল।
সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্নোত্তর (FAQ)
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম কত সালে?
১৪৮৬ খ্রিঃ এর ১৯ শে ফেব্রুয়ারী ফাল্গুনী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে নবদ্বীপের মায়াপুর পল্লীতে শ্রীহট্টিয়া পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন চৈতন্য মহাপ্রভু
শ্রী চৈতন্যের প্রকৃত নাম কি
পিতৃদত্ত নাম বিশ্বম্ভর (যিনি বিশ্বের ভার বহন করেন), ডাকনাম - নিমাই, গৌরাঙ্গ।
শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়?
নবদ্বীপে
শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের রচয়িতা কে?
কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ বাংলা লিরিক?
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ।
শ্রী চৈতন্যদেব কেন বিখ্যাত?
বাংলা সাহিত্যে হিন্দুসন্ন্যাসী ও বৈষ্ণব/মানব প্রেম ধর্মের প্রচারক শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু স্মরণীয় কারণ তিনি ছিলেন একজন ষোড়শ শতাব্দীর বাঙালি ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক। হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্রটি তিনিই জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় লিখেছিলেন আটটি স্লোক, যা শিক্ষাষ্টোক নামে পরিচিত।